ফুরোমনের চূড়া থেকে পাখির চোখে মতো দেখা যায় কাপ্তাই লেকের বিস্তৃত জলরাশি। বছরের এই সময়ে নীল জলরাশির কাপ্তাই লেক, স্বচ্ছ নীলাভ জল আর বিস্তৃত দেখে মনে হতে পারে পাহাড়ের মধ্যে সমুদ্রের তীরের পৌঁছে গেছি। বসন্তের বাতাস ছুঁয়ে আছে লেকের নীল জল, পাহাড় পেরিয়ে কাছে-দূরে কেবল নীল জলরাশি। জলরাশির মধ্যভাগে জেগে আছে ছোট ছোট সবুজ দ্বীপ। ছোট ছোট ডিঙি নৌকা ছুটে চলছে জলের বুকে। আর দূরে যাত্রী বোঝাই করা দোতলা কাঠের লঞ্চ। হরিনা, জুরিছড়ি, মাইনী, লংগদু, বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি পথে ছুটছে পাহাড়ের মানুষ। ৭২৫ বর্গকিলোমিটারের কাপ্তাই ছড়িয়ে আছে পাহাড়ের নানা প্রান্তে। জলযোগে যাওয়া যায় রাঙামাটি সর্বপ্রান্তে। এমন নীল জলরাশি আর পাহাড় ছুঁয়ে থাকা জনপথ বিলাইছড়ি। কাপ্তাইয়ে জেটি ঘাট থেকে দেশি বোটে রওনা হতে পারেন বিলাইছড়ি পথে। পথের শুরুতে কাপ্তাই বাঁধ চোখে পড়বে, সামনের দিকে হাতছানি দিচ্ছে বিস্তৃতি জলাধার, দুপাশে সবুজ পাহাড় ছুঁয়ে চলছে নৌকা। সামনে যেতে যেতে চোখে পড়বে মাছ ধরে ঘরে ফেরা মানুষ, ছোট ছোট টিলায় মানু্ষের বসতি। সাধারণত লেকের পাড়ে আদিবাসীদের বসবাস এ অঞ্চলে। পাহাড়ের কোল ঘেষে দাঁড়িয়ে থাকা জুমঘরগু্লো সাজানো...