রোহিঙ্গারা মুসলমান বলেই তাদের ওপর নির্যাতন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন, ধর্ষণ, গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। মিয়ানমারের উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে বিশ্বসমাজ নীরব।

রোহিঙ্গারা মুসলমান বলেই তাদের ওপর নির্যাতন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতন, ধর্ষণ, গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। মিয়ানমারের উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে বিশ্বসমাজ নীরব। 











































আব্দুল মালেক শুভ ঃ

 ৩ জুন থেকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসরত শত শত মুসলমান নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ ঘর-বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। সেখানকার প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন। তো এমন মানবতা-বিরোধী ঘটনায় বিশ্ব সমাজকে চুপ থাকতে দেখা যাচ্ছে -এর কারণ কি?
আসলে খুব অবাক লাগে যে, ওআইসি বা মুসলিম দেশগুলো রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সাম্প্রতিক নির্যাতন ও ঘটনাবলীতে সম্পূর্ণ নীরব রয়েছে। আর কেন রয়েছে এর নেপথ্য কারণ জানতে হলে আসলে তা এক কথায় বলা খুবই মুশকিল। তো এ সম্পর্কে আমার যে ব্যাখ্যা সেটা হলো- ইন্টারন্যাশনাল সিস্টেম, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেনশনস এবং ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স এ তিনটি বিষয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের যেকোনো একটি ঘটনা সেটা পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তেই হোক না কেন সেটিকে ব্যাখ্যা করতে হলে ইন্টারন্যাশনাল সিস্টেমের গত দু’শ বছরের ইতিহাসের আলোকেই তা করতে হবে। আজ ধরুন, কসোভো নামক মুসলিম প্রধান যে দেশটি হয়েছে তাদের স্বাধীনতা অর্জনের সমস্ত যোগ্যতা ছয় থেকে সাত বছর আগেই হয়েছে। কিন্তু, সেই ২০০০ হাজার সাল থেকে তাদের এখনও পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো। এমনিভাবে আমরা যখন দেখি মিয়ানমারে অন্যান্য জাতিগত সব বিদ্রোহ দমন করার জন্য সে দেশের সরকার যে পরিকল্পনা নিল এবং যে কারণে পাশ্চাত্য বিশ্ব তাদের সাথে ওপেন আলাপ করছে। তাই নয় তাদের ওপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিল। কিন্তু, মুসলিমাদের বেলায় তা করা হলো না।
দুর্ভাগ্যবশতঃ রোহিঙ্গা মুসলিমরা-তারা আরাকানীয় মুসলিম, তারা বাংলাদেশী না বা অন্য কোনো জায়গা থেকে আসেনি। তারা নৃতাত্ত্বিকভাবে,  ঐতিহাসিকভাবে ওখানকার অধিবাসী এবং তারা বহু শতাব্দী ধরে সেখানেই তারা বসবাস করছে।
কিন্তু, আসলে ব্যাপারটা এমন যে, জাতিগতভাবে তারা মুসলমান আর তাই তাদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে এমন একটি প্রশ্ন রাখতে চাই। পৃথিবীর যে সমস্ত জায়গায় মুসলিম জাতি এবং মুসলমানরা বসবাস করছে শত ত্যাগ তিতীক্ষা এবং সংগ্রামের পরও তাদের অধিকার আদায় খুব সহজ হচ্ছে না কেন? বরং নানাভাবে তাদের অর্জনগুলোকে ম্লান করে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। একইভাবে মিয়ানমারে আজ আট থেকে দশ লাখ মানুষ অসহায় অবস্থার শিকার। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করলেন যে, তাদেরকে হয়তো শেল্টারে যেতে হবে অথবা তাদেরকে ডিপোর্ট করতে হবে। জাতিগতভাবে তারা মিয়ানমারের কোনো অংশই না। এটা খুবই অবাক ও বিস্ময়ের ব্যাপার। রোহিঙ্গারা মুসলমান বলেই তাদের ওপর এ ধরনের অত্যাচার চলছে এবং তাদেরকে আজ নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে।

 রোহিঙ্গা মুসলমানরা কয়েকশ’ বছর ধরে মিয়ানমারে বসবাস করে আসছে। তাদের ভাষা-সংস্কৃতি ইতিহাস সবই রয়েছে। এ ছাড়া, মধ্যযুগীয় সাহিত্যে আরাকানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বসবাসের প্রমাণ রয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশটির সরকার তাদেরকে ওই দেশের নাগরিক হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করছে। মিয়ানমার সরকার অযৌক্তিকভাবে রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবৈধ অভিবাসী বলে দাবি করে আসছে। তো আসলে কি তারা সেখানে অবৈধ অভিবাসী?

 মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের রয়েছে ঐতিহ্যগত ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ইতিহাস এবং নৃতাত্ত্বিক ইতিহাস। আরাকানের রাজ সভায় বাংলা সাহিত্যের চর্চা করা হতো। আমি খুব অবাক হই যে, পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়া ইদানিং প্রচার করছে রোহিঙ্গা মুসলমানরা বাংলা ভাষাভাষী হওয়ার কারণে তারা বাংলাদেশের আদি অধিবাসী। ব্যাপারটা কিন্তু আদৌ সত্য না। কারণ, আরাকানের রাজসভায় যে বাংলা সাহিত্যের চর্চা করা হতো তা ছিল আরকানিদের। জন্মগতভাবে, ঐতিহাসিকভাবে এবং স্মরণাতীতকাল থেকে তারা সেখানে বসবাস করছে। কাজেই অবিসংবাদিতভাবে রোহিঙ্গা মুসলমানরা আরাকানের অংশ। আর সেই আরাকান যদি আজ মিয়ানমার বা বার্মার সাথে সংযুক্ত একটা অঞ্চল হতে পারে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আরাকানের মুসলমানরা এখনকার মিয়ানমার বা বার্মার অধিবাসী। আর এটা অস্বীকার করা ইতিহাসের মিথ্যাচারণা। একইভাবে তাদের ওপর নিলর্জ্জভাবে অত্যাচার নির্যাতন মূলতঃ একটা জাতিগত ধ্বংস সাধন এবং একবিংশ শতাব্দির ‘এথনিক ক্লিনজিং’ এর অত্যন্ত জঘন্যতম উদাহরণ। আমি বিশ্বের বিবেকবান মানুষ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সকল নেতা, আন্তর্জাতিক সংস্থার ধারক-বাহক এবং বিশেষ করে মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও তাদের কর্মীদের কাছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর যে অত্যাচার নির্যাতন চলছে সে ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাচ্ছি। পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ যদি মানুষকে সত্যিকার অর্থে মানুষ হিসেবে স্বীকার করে তাহলে অবশ্যই আরাকানদের নিদরুণ বেদনাদায়ক অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য জাতি ধর্ম নির্বিশেষে পৃথিবীর সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। আরাকানের রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে অবশ্যই ঐতিহাসিকভাবে মিয়ানমারের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে স্বীকার করতে হবে।

 জাতিসংঘ রোহিঙ্গা মুসলমানদের রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠী বলে উল্লেখ করে থাকে। এ ছাড়া, তারা বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী বলেও জাতিসংঘ স্বীকার করে। আসলে রোহিঙ্গা মুসলমানদের কি রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠী বলা যায়? নাকি আসলে এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে?

 জাতিসংঘ তো জাতিসংঘই। জাতিসংঘকে বলা হয় ইউনাইটেড নেশসন্স। আসলে তো ইউনাইটেড নেশন্স নয়, উন্নত ধনিক পুঁজিবাদী রাষ্ট্রসমূহ জাতিসংঘকে চালনা করছে। আর পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলোর আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারণের চরিত্রগত বৈশিষ্টের দিকে আমাদেরকে তাকাতে হবে। আপনারা যদি পৃথিবীর যে কোনো অঞ্চলের যুদ্ধের ইতিহাস দেখেন, বঞ্চনার ইতিহাস দেখেন, শোষণের ইতিহাস দেখেন তাহলে দেখা যাবে- ১৯৬০ থেকে ’৭০ সালের পর হতে যখন কমিউনিজম ম্রিয়মান ও ক্ষয়িষ্ণু হয়ে গেল এবং ৮০'র দশকের শেষের দিকে বা ৯০-এর দশকে যখন হঠাত করে কমিউনিজম পতনের মুখে চলে যায় ঠিক তখনই কিন্তু কমিউনিজমের জায়গা দখল করে নেয় ইসলাম। এবং অবাক হবেন যে, সারা পৃথিবীতে ইসলাম ও মুসলমানরা শান্তির জন্য তেমন কোনো ক্ষতিকর বা হুমকিমূলক কিছুই করেনি। আমরা যদি ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস দেখি এবং ওয়ার্ল্ড ইভেন্টগুলো দেখি তাহলে খুব বেদনাদায়ক চিত্র সেখানে দেখতে পাবো। সেখানে মুসলমানদেরকে শান্তির প্রতি হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আজ যদি আমরা চীনের উইঘরদের কথা বলি, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের কথা তো  বলছিই-সবার ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য। রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে বলা হচ্ছে স্টেটলেস কম্যুউনিটি। যদি  জাতিসংঘ একথা বলে থাকে তাহলে তা অত্যন্ত বেদনার বিষয়। আন্তর্জাতিক আইনে কি আছে আমি তা জানি না, যদি আন্তর্জাতিক আইনে এমন কোনো নিয়ম থেকে থাকে যা সঙ্গাগত  বৈশিষ্ট্য দিয়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদেরকে আজ যদি বলা হয় স্টেটলেস কমিউনিটি-তাহলে আমার দাবি থাকবে সেইসব আইনগুলো সম্পর্কে নতুন করে স্ট্যাডি করা হোক, গবেষণা করা হোক। প্রয়োজনে নতুন আইন রচনা করা হোক যাতে করে পৃথিবীতে জাতি ধর্ম বর্ণ নিবিশেষে কোনো জনগোষ্ঠী যেন তার জাতিগত ইতিহাস, নৃতাত্ত্বিক  ইতিহাস এবং রাষ্ট্রীয় ইতিহাসের মৌলিক ইতিহাস থেকে বঞ্চিত না হয়। এজন্য জাতিসংঘকে এগিয়ে আসতে হবে নতুন করে ভাবতে হবে এবং এ সংস্থার টারমিনোলজি নিয়ে মনে হয় নতুন করে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।

রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে এর আগে সবসময় বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় দিয়ে এসেছে। কিন্তু, বর্তমান সরকার তা করতে অস্বীকার করেছে। কারণ কি?

  বাংলাদেশ সরকার যে অস্বীকার করছে- ঢালাওভাবে মনে হয় এ অভিযোগ করা যায় না। তবে, আনফরচুনেটলি ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি এটা দিয়ে আসছে। আমরা দেখছি, ইউনাইটেড নেশন্স থেকে শুরু করে ইউএনএইচসিআরসহ অন্যান্য যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো আছে এবং আমাদের দেশেরও মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও কর্মীরা বাংলাদেশ সরকারের  ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে।

আমি বলব, এটার দুটো কারণ হতে পারে। একটা হচ্ছে-আবেগের দিক থেকে। কারণ যেসব সংস্থা বা কমিশন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার কথা বলছে তারা মূলতঃ আবেগতাড়িত হয়ে বলছে। অর্থাত রোহিঙ্গারাও একই ধর্মের এবং একই ভাষার মানুষ। তারাও মুসলমান। তা ছাড়া, অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং মানবাধিকারের প্রশ্নটি এর সঙ্গে জড়িত। এবং এসব বিষয়ের প্রতি বাংলাদেশীদের সবসময় শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা থাকে। সে দৃষ্টিকোণ থেকে তারা এ কথাটি বলছে। দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে- সাধারণত বাংলাদেশীরা বন্ধুপ্রবণ, ভ্রাতৃপ্রবণ। প্রতিবেশিদের যে কোনো দুঃখ-কষ্টের সময় বাংলাদেশীদের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও তাদের পাশে দাঁড়ায়। আর মানবাধিকারের প্রশ্ন হলে তো কথাই নেই। সেদিক থেকে হয়তো তারা তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু, যদি গভীরভাবে বিষয়টি দেখা যায় তাহলে যে চিত্র ফুটে উঠবে সেটি হচ্ছে-বাংলাদেশে এমনিতেই জনসংখ্যার একটা চাপ রয়েছে, ঘন জনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। আমরা আমাদের নিজস্ব জনগণের চাকরি, কর্মসংস্থানসহ মৌলিক অধিকারগুলো ঠিকমতো পূরণ করতে পারছি না। সেক্ষেত্রে যদি মিয়ানমারের অধিবাসিরা আবার বাংলাদেশে চলে আসে এবং অব্যাহতভাবে আসতেই থাকে -যেমন ধরুন আজ দু'লাখ আছে এরপর যদি আরো আট লাখ মিয়ানমারের অধিবাসী বাংলাদেশে চলে আসে তাহলে কি অবস্থা দাঁড়াবে। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন সেইন যে কথা বলতে চাইছে তাতে মিন করে- মিয়ানমারের আট থেকে ১০ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানের দায়িত্ব বাংলাদেশকেই নিতে হবে। এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো সম্ভবতঃ সে কথাই বলতে চাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ১০ লাখ মানুষের বাড়তি বোঝা নিয়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, সংস্কৃতিগত এবং নিরাপত্তাগত মস্ত ঝুঁকি থাকবে। আর এসব দিক বিবেচেনা করে বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই খুবই সতর্কতামূলকভাবে এগুতে হবে বলে আমি মনে করি। এতদসত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর যথেষ্ট সহযোগিতা এবং সহমর্মিতার ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে, এখানে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি সেটি হচ্ছে- বাংলাদেশ মনে করে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সমস্যা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা; এটি সমাধানের জন্য মিয়ানমার সরকারকে চাপ দিতে হবে, তাদেরই সমাধান করতে। এ সম্পর্কে আমিও গত কয়েকদিনে পত্রপত্রিকাতে বেশ কয়েকটি আর্টিকেল লিখেছি। ফলে তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য মিয়ানমার যাতে উদ্যোগ গ্রহণ করে সেজন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সেই সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। কিন্তু আমরা দেখছি সেখানকার পরিস্থিতি ভিন্ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব মিয়ানমার সরকারের ওপর থেকে প্রায় সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। তারা তো এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপিয়ে দিতে পারতো যে সেখানে যেভাবে মানবাধিকার লংঘন করা হচ্ছে সেটি মেনে নেয়া হবে না। যদি মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে না। কিন্তু আপনারা লক্ষ্য করবেন- যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্য বিশ্ব কিন্তু তা করেনি। কাজেই মিয়ানমারের সমস্যা সমাধান সেখান থেকেই করতে হবে। বাংলাদেশ মিয়ানমারের সমস্যা সমাধান করবে কেন? বাংলাদেশ সাময়িকভাবে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিতে পারে, সহমর্মিতা জানাতে পারে। কিন্তু এটার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের না আছে সেই যোগ্যতা, না আছে তার প্রয়োজনীয়তা এবং সেটা কোনো ভায়াবল বিষয় নয় বলে আমি মনে করি।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোনার ময়না ঘরে থুইয়া বাইরে তালা লাগাইছে রসিক আমার মন বান্ধিয়া পিন্জর বানাইছে

মানুষ কখনো ইচ্ছে করে বদলায় না কিছু মানুষের অবহেলা, কিছু স্মৃতি