প্রেমে পড়বেন কিভাবে দেখুন

প্রেম-ভালোবাসার ব্যাপারগুলো নাকি ঘটনাচক্রে হয়ে যায়। চেষ্টা বা পরিকল্পনা করে কি কারও মধ্যে এ রকম অনুভূতি জাগানো সম্ভব? বছর বিশেক আগে মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক আর্থার অ্যারন দাবি করেন, তিনি অচেনা এক জোড়া নারী-পুরুষকে প্রেমে ফেলতে সফল হয়েছেন। পশ্চিমা লেখক ম্যান্ডি লেন কার্টন বলছেন, তিনিও একই পদ্ধতি অনুসরণ করে একজন প্রেমিক জোগাড় করেছেন। সেটা কীভাবে?
মনোবিজ্ঞানীদের এ রকম প্রচেষ্টা একেবারেই নতুন নয়। একটা উপায়: পরীক্ষাগারে পৃথক দরজা দিয়ে একজন নারী ও একজন পুরুষ প্রবেশ করবেন। তাঁরা মুখোমুখি বসে পরস্পর ধারাবাহিকভাবে ব্যক্তিগত কিছু প্রশ্ন করবেন। তারপর চার মিনিট ধরে একজন আরেকজনের চোখের দিকে নীরবে তাকিয়ে থাকবেন। ছয় মাস পরেই তাঁদের দেখা যাবে বিবাহিত দম্পতির ভূমিকায়।
একেবারে গালগল্প নয়, এ রকম কিছু নজির আছে। স্বভাবতই কৌতূহল জাগে, সেই ব্যক্তিগত প্রশ্নরাশি না জানি কেমন। না, খুব কঠিন কিছু নয়। যেমন: ‘আপনি কি বিখ্যাত হতে চান? কীভাবে’, ‘শেষবার কবে গুন গুন করে গেয়েছিলেন’, ‘কবে অন্যকে গেয়ে শুনিয়েছিলেন’—ইত্যাদি।

আরও কিছু অনুসন্ধানী প্রশ্ন হতে পারে। যেমন: ‘জীবনসঙ্গীর মধ্যে দেখতে চান এ রকম তিনটি গুণের কথা বলুন’। গল্পসল্প করতে দোষ কী। ছেলেবেলার স্মৃতি, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্ক, জীবনের লক্ষ্য ইত্যাদি বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে। নিজের পছন্দগুলোর 
কথা জানিয়ে দেওয়া যায়। তবে এ ক্ষেত্রে অবশ্যই সৎ থাকতে হবে।

ম্যান্ডির ভাষায় ওই চার মিনিটের স্তব্ধ দৃষ্টি বিনিময় ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় অভিজ্ঞতাগুলোর একটি। চোখজোড়া তো মানুষের অন্তরাত্মার জানালা। তিনি যেমন কাউকে দেখছিলেন, একই সঙ্গে সেই মানুষটিও তাঁকে দেখছিলেন। সময়টা পেরোনোর পর একধরনের প্রশান্তির বোধ হয়েছিল।

এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা, ভালোবাসা আসলে একটা কাজ। আপনার যাতে কিছু যায়-আসে, তাতে আপনার সম্ভাব্য জীবনসঙ্গীরও কিছু যাবে-আসবে যদি অন্তত তিনটি বিষয়ে আপনাদের মিল থাকে। সে কারণেই আপনারা পরস্পরের দিকে গভীর দৃষ্টি দেবেন এবং পরিণামে প্রেমে পড়বেন। শরীরের ফেরোমোন ও হরমোনগুলো এ ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করবে।

অধ্যাপক অ্যারনের মতে, অচেনা দুজনের মধ্যে ৩৬টি ব্যক্তিগত প্রশ্ন বিনিময় হতে পারে। এসবের মধ্যে চারটি উদাহরণ: নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানাতে পৃথিবীর যে কাউকে ডাকার সুযোগ পেলে কাকে বেছে নেবেন? আপনার জন্য ‘পরিপূর্ণ’ দিনটা কেমন হবে? যদি ৯০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচার সুযোগ পান এবং শেষ ৬০টি বছর শরীর বা মনের যেকোনো একটিকে ৩০ বছর বয়সীর মতো অটুট অবস্থায় বেছে নিতে পারেন, কোনটা নেবেন? কীভাবে মারা যাবেন, সে সম্পর্কে আপনার কোনো অনুমান আছে?

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোনার ময়না ঘরে থুইয়া বাইরে তালা লাগাইছে রসিক আমার মন বান্ধিয়া পিন্জর বানাইছে

মানুষ কখনো ইচ্ছে করে বদলায় না কিছু মানুষের অবহেলা, কিছু স্মৃতি

ঘাসফুলেদের সাথে আমি একাই কথা বলি ঘাসফুল গুলো সব ছন্নছাড়া।