ফিরেই আর্জেন্টিনাকে জেতালেন মেসি

ফিরেই আর্জেন্টিনাকে জেতালেন মেসি

Published: 2016-09-02
লিওনেল মেসি ফিরলেন তার পুরনো রূপে।
দলের সেরা তারকার উজ্বল পারফরম্যান্সে
আর্জেন্টিনা পেরুলো বড় বাধা। বিশ্বকাপ
বাছাইপর্বে লাতিন আমেরিকার পয়েন্ট
তালিকার সবার উপরে থাকা উরুগুয়েকে
হারিয়ে শীর্ষে উঠে এলো দুবারের বিশ্ব
চ্যাম্পিয়নরা।
বুয়েনস আইরেসে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার
ভোরে হওয়া ম্যাচটি মেসির একমাত্র গোলে
জিতেছে আর্জেন্টিনা। ঘরের মাঠে
শিষ্যদের দারুণ পারফরম্যান্সে নতুন কোচ
এদগার্দো বাউসার শুরুটাও তাই হলো
দুর্দান্ত।
গত জুনে কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসরের
ফাইনালে চিলির কাছে হেরে যাওয়ার পর
আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা
দিয়েছিলেন মেসি। কোচের দায়িত্ব নিয়েই
মেসিকে ফেরানোর লক্ষ্য জানান বাউসা।
পরে তার সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত
পাল্টে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন বার্সেলোনার
এই তারকা ফরোয়ার্ড। ফিরলেন রাজকীয়
ভঙ্গিতেই।
গনসালো হিগুয়াইন আগে থেকেই ছিলেন না।
সের্হিও আগুয়েরো ও হাভিয়ের পাস্তোরে
দলে থাকলেও চোট পেয়ে ছিটকে পড়েন।
আক্রমণভাগ ও মাঝমাঠের গুরুত্বপূর্ণ তিন
খেলোয়াড় না থাকলেও অবসর ভেঙে ফেরা
মেসির নৈপুণ্যে শুরু থেকেই উরুগুয়ের রক্ষণে
চাপ বাড়ায় আর্জেন্টিনা।
পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার মেসির পাশে
উজ্জ্বল ছিলেন পাওলো দিবালা। ৩২তম
মিনিটে অনেকটা দূর থেকে ইউভেন্তুসের তরুণ
এই ফরোয়ার্ডের শট লাগে ডান পোস্টে।
৪০তম মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল
পেয়ে জোরালো শট নেন মেসি। কিন্তু লক্ষ্য
ঠিক ছিল না, সামনে থাকা এক জনের পায়ে
লেগে ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে চলে
যায়।
দুই মিনিট পরেই দলকে এগিয়ে দেন মেসি।
ঘিরে থাকা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের
মাঝে বাঁ পায়ে দারুণ ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে
নিয়ে এক জনকে কাটিয়ে জোরালো শট নেন
বার্সেলোনা তারকা। বল প্রতিপক্ষের এক
জনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে
জড়ায়।
৪৫তম মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন লুইস
সুয়ারেস। বল পায়ে বাঁদিক দিয়ে ডি বক্সে
ঢুকে পড়লেও শট নিতে দেরি করে ফেলেন
প্রথমার্ধে নিজের মান অনুযায়ী খেলতে না
পারা এই তারকা।
পরের মিনিটেই বড় ধাক্কা খায়
স্বাগতিকরা। যোগ করা সময়ে দিবালা
দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে
পরিণত হয় তারা।
৫৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো।
তবে ২৫ গজ দূর থেকে মেসির জোরালো শট
জালে ঢোকার মুহূর্তে কোনোমতে কর্নারের
বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক মুসলেরা।
বাকি সময়েও আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে চলে
জমজমাট লড়াই। গত মৌসুমে বার্সেলোনার
সর্বোচ্চ গোলদাতা সুয়ারেস বেশ কবার
স্বাগতিক রক্ষণ ভেঙে ঢুকে পড়েন; কিন্তু
ফিনিশিংয়ে সাফল্যের দেখা পাননি।
শুরু থেকে অনুজ্জ্বল আর্জেন্টিনার তারকা
মিডফিল্ডার আনহেল দি মারিয়া
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে হলুদ কার্ড দেখেন। পরে
৮৫তম মিনিটে তাকে তুলে নেন কোচ।
পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ওঠা আর্জেন্টিনার
পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ১৪। উরুগুয়ে, কলম্বিয়া ও
একুয়েডরের পয়েন্ট সমান ১৩। গোল ব্যবধানে
এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সুয়ারেসরা। এরপর
যথাক্রমে কলম্বিয়া ও একুয়েডর।
এর আগে একুয়েডরকে ৩-০ গোলে হারানো
ব্রাজিল১২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে
রয়েছে। দিনের অন্য ম্যাচে কলম্বিয়া ২-০
গোলে ভেনেজুয়েলাকে এবং বলিভিয়া একই
ব্যবধানে পেরুকে হারিয়েছে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোনার ময়না ঘরে থুইয়া বাইরে তালা লাগাইছে রসিক আমার মন বান্ধিয়া পিন্জর বানাইছে

মানুষ কখনো ইচ্ছে করে বদলায় না কিছু মানুষের অবহেলা, কিছু স্মৃতি

ঘাসফুলেদের সাথে আমি একাই কথা বলি ঘাসফুল গুলো সব ছন্নছাড়া।