২০০০ বিসি(- ৪০০০ বছর)ঃ প্রায়চারহাজার বছরের পুরনো তাম্রযুগেরধ্বংসাবশেষ বাংলায় পাওয়া গেছে।
২০০০ বিসি(- ৪০০০ বছর)ঃ প্রায়চারহাজার বছরের পুরনো তাম্রযুগেরধ্বংসাবশেষ বাংলায় পাওয়া গেছে। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদ বাংলাকে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল।
ভাষা পরিবার: Indo-European -> * ইন্দো-ইরানীয় -> o ইন্দো-আর্য -> + মাগধী প্রাকৃত -> # অপভ্রংশ অবহট্ঠ -> * বাংলা-অসমীয়া -> o বাংলা।
বাংলা ভাষার ইতিহাস তিন পর্যায়ে বিভক্ত:
প্রাচীন বাংলা (৯০০/১০০০ খ্রিস্টাব্দ – ১৪০০ খ্রিস্টাব্দ) — লিখিত নিদর্শনের মধ্যে আছে চর্যাপদ, ভক্তিমূলক গান; আমি, তুমি, ইত্যাদি সর্বনামের আবির্ভাব; ক্রিয়াবিভক্তি -ইলা, -ইবা, ইত্যাদি। ওড়িয়া ও অসমীয়া এই পর্বে বাংলা থেকে আলাদা হয়ে যায়।
মধ্য বাংলা (১৪০০–১৮০০ খ্রিস্টাব্দ) — এ সময়কার গুরুত্বপূর্ণ লিখিত নিদর্শন চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন; শব্দের শেষে “অ” ধ্বনির বিলোপ; যৌগিক ক্রিয়ার প্রচলন; ফার্সি প্রভাব। কোন কোন ভাষাবিদ এই যুগকে আদি ও অন্ত্য এই দুই ভাগে ভাগ করেন।
আধুনিক বাংলা (১৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে) — ক্রিয়া ও সর্বনামের সংক্ষেপন (যেমন তাহার → তার; করিয়াছিল → করেছিল)।
১০০০ বিসি(- ৩০০০ বছর)ঃ ইন্দো-আর্যরা আসার পর অঙ্গ, বঙ্গ এবং মগধ রাজ্য গঠিত হয়। এই রাজ্যগুলি বাংলা এবং বাংলার আশেপাশে স্থাপিত হয়েছিল। যার বর্ণনা প্রথম পাওয়া যায় প্রায় ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে,অথর্ববেদে।
৭০০ বিসি(- ২৭০০ বছর)ঃ পুড্রবর্ধন, রাজধানিঃ মহাস্থান-গর (বর্তমান বগুরা)।
৬০০ বিসি(- ২৬০০ বছর)ঃ অঙ্গ ও পুন্ড্র রাজ্যের উথথান। খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে বাংলার বেশিরভাগ এলাকাই শক্তিশালী রাজ্য মগধের অংশ ছিল। মগধ ছিল একটি প্রাচীন ইন্দো-আর্য রাজ্য। মগধের কথা রামায়ণ এবংমহাভারতে পাওয়া যায়।
মন্তব্যসমূহ