৯৮২ খ্রিস্টাব্দে (-১০৩০ বছর): অতীশ দীপঙ্কর বিক্রমপুর পরগনার বজ্রযোগিনী গ্রামে জন্মুগ্রহণ করেন,
৯৮২ খ্রিস্টাব্দে (-১০৩০ বছর): অতীশ দীপঙ্কর বিক্রমপুর পরগনার বজ্রযোগিনী গ্রামে জন্মুগ্রহণ করেন, এটি বর্তমানে বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত। মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে তিনি একজন প্রখ্যাত নৈয়ায়িক ব্রাহ্মণকে তর্কযুদ্ধে পরাজিত করলে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পরে। একত্রিশ বছর বয়সে ধ্যান শিক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি মগধের জ্ঞানবৃদ্ধ আচার্য ধর্মরক্ষিতের কাছে যান। এর পর ১০১১ সালে তিনি ১২৫জন অনুগামী ভিক্ষুসহ এক সওদাগরী জাহাজে মালয়দেশের সুবর্ণদ্বীপে যান এবং সেখানে প্রখ্যাত আচার্য ধর্মকীর্তির কাছে ১২ বছর বৌদ্ধশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। পরে কিছু দিন শ্রীলংকায় অবস্থান করে ১০২৫ খ্রিস্টাব্দে ৪৪ বছর বয়সে তিনি আবার ভারতবর্ষে ফিরে আসেন। এ সময় বজ্রাসন মহাবোধি বিহারে (বর্তমান বৌদ্ধগয়া) আয়োজিত সংবর্ধনায় তার অসামান্য পান্ডিত্যের জন্য 'ধর্মপাল' উপাধি দেওয়া হয়। তিব্বতের রাজা চ্যান-চাব জ্ঞানপ্রভ তাঁকে আমন্ত্রণ করলে তিনি ১০৪১ সালে বিক্রমশীলা বিহার থেকে যাত্রা শুরু করে দুর্গম হিমালয় পর্বতমালা পাড়ি দিয়ে তিব্বতে যান। তিব্বতে পৌঁছে দীপঙ্কর রাজকীয় মর্যাদা লাভ করেন। এখনও সেখানকার মঠের প্রাচীরে এই সংবর্ধনার দৃশ্য আঁকা আছে। তিনি বৌদ্ধশাস্ত্র, চিকিৎসা ও কারিগরিবিদ্যা সম্পর্কে তিব্বতি ভাষায় দুইশ'রও বেশি বই রচনা, অনুবাদ ও সম্পাদনা করে তিব্বতবাসীদের মাঝে বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন। তিব্বতবাসীরা গৌতম বুদ্ধের পরেই তাঁকে স্থান দেয় এবং তাঁকে 'জোবো ছেনপো' বা মহাপ্রভুরূপে মান্য করে। তারা তাঁকে "অতীশ" উপাধিতে ভূষিত করে। তিনি তিব্বতে বহু প্রাচীন সংস্কৃত পুঁথি আবিষ্কার করেন এবং নিজ হাতে সেগুলির প্রতিলিপি করে বাংলায় পাঠান।
১২০৪ এডি(-৮০৮ বছর)ঃ ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খালজি বাংলা জয় করেন। বাংলায় মুসলিম শাষনের সুচনা হয়। ১২৬৮ থেকে ১২৮১ পর্যন্ত ঝিনাইদহ মুসলিম রাজ্য তথা দিল্লী সালতানাতের অধীনে লক্ষনাবতীর অন্তর্ভূক্ত হয়। ইখতিয়ার উদ্দিন বাংলা জয় করে রংপুর অঞ্চলে তাঁর প্রথম রাজধানী স্থাপন করেন।
১৩৪২ সালে সুলতান শাসুদ্দিন ইলয়াস শাহ্ লক্ষনাবতীকে স্বাধীন সালতানাত ঘোষণা করে বাংলাকে একটি প্রশাসনিক কাঠামোতে আনেন।
১৫৩৪ এডি(-৪৭৮ বছর)ঃ পর্তুগিজদের আগমন ও ব্যবসার অনুমতি লাভ।
১৫৩৮ এডি(-৪৭৪ বছর)ঃ গিয়াসউদ্দিন শাহ ও তার পর্তুগিজ মিত্ররা শের শাহ এর কাছে পরাজিত হন। মঘল সম্রাট হুমায়ুনগৌর দখল করেন, কিন্তু বাংলার সুলতান শের শাহ এর কাছে পরাজিত ও বিদ্ধ্স্ত হন।
১৫৭৮ এডি(-৪৩৪ বছর)ঃ মুঘল সুবেদার খান জাহান বাংলা আক্রমন করে ঈশা খারকাছে পরাজিত হন।
১৫৮৪ এডি(-৪৭৪ বছর)ঃ মুঘল সুবেদার শাহাবাজ খান বাংলা আক্রমন করে ঈশা খার কাছে পরাজিত হন।
১৫৯৭ এডি(-৪৬১ বছর)ঃ মুঘল সেনাপতিমান সিং ঈশা খার কাছে পরাজিত হন।
১৬০৮ এডি(-৪৫০ বছর)ঃ মুঘল সুবেদারইসলাম খান বাংলা জয় করেন, ঢাকাকে এই অঞ্চলের রাজধানী করেন। মুঘল শাষক জাহাঙ্গিরের নামানুষারে ঢাকার নাম জাহাঙ্গির নগর করেন।
১৭৫৭ এডি(-২৫৫ বছর)ঃ বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পলাশী নামক স্থানে ১৭৫৭ সালের জুন ২৩ তারিখে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এই যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন এবং ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সূচিত হয়।
মন্তব্যসমূহ