ফ্রান্সের আল্পস পর্বতমালায় গত সপ্তাহে জার্মানউইংসের বিমান বিধ্বস্তের আগ মুহূর্তের ভিডিও পাওয়া গেছে ঘটনাস্থলের কাছে। জার্মানির বিল্ড পত্রিকা বুধবার এ খবর দিয়েছে।

ভিডিওফুটেজটি এরই মধ্যে দেখা
হয়েছে বলেও জানিয়েছে
পত্রিকাটি। বিধ্বস্ত বিমানটিরই
নিহত এক যাত্রীর মোবাইল ফোনে
ছিল এ ভিডিও।
এতে দেখা গেছে, বিমান
বিধ্বস্ত হওয়ার আগে এর ভেতরে
যাত্রীদের চিৎকার-
চেঁচামেচিতে বিশৃঙ্খল এক
পরিবেশের দৃশ্য। তাছাড়া,
ককপিটের দরজায় ধাতব কোনোকিছুর
বাড়ি দিয়ে দরজা ভাঙার চেষ্টার
শব্দও শোনা গেছে এতে।
ভিডিওতে যাত্রীদের
আর্তচিৎকারের মাঝে
সৃষ্টিকর্তাকে ডাকতে শোনা
গেছে। আর এ থেকেই বোঝা যায় কি
ঘটতে চলেছে তা বুঝতে
পেরেছিলেন বিমানের
যাত্রীরা।
ফ্রান্সে জার্মানউইংসের
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে
কর্মরত কৌসুলি বলেছেন, বিমান
বিধ্বস্তস্থলে সংগ্রহ করা
কোনো মোবাইল ফোনই বিচার-
বিশ্লেষণের জন্য তদন্তকারীদের
হাতে পৌঁছেনি। সবই এখনো রয়ে
গেছে আল্পসেই।
ঘটনাটি তদন্তে নিয়োজিত প্রধান
তদন্তকারী কর্মকর্তা বিমানের
যাত্রীদের মোবাইল ফোন এবং
ভিডিও ফুটেজ যার কাছেই থাকুক
না কেন তা অবিলম্বে
তদন্তকারীদের কাছে
হস্তান্তরের অনুরোধ
জানিয়েছেন।
ভিডিও ফুটেজটি আদতেই বিমান
বিধ্বস্তের আগ মুহূর্তের বলে
নিশ্চিত করেছে বিল্ড পত্রিকা
বলেছে, ককপিটের দরজায় ধাতব
বস্তুর আঘাত শোনা গেছে
তিনবার।সম্ভবত পাইলটই বাইরে
থেকে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকার
চেষ্টা করছিলেন।
বিমানের কো-পাইলট আন্দ্রিয়েজ
লুবিৎজ পাইলটকে বাইরে আটকে
রেখে ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানটি
ধ্বংস করেন।
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার শেষ
মুহূর্তে প্রচণ্ড একটি ঝাঁকুনি
খায় এবং কেবিন মারাত্মকভাবে
একদিকে হেলে পড়ে। এ সময়
যাত্রীদের আরো জোরে
চিৎকারের মধ্য দিয়ে ভিডিওটি
শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে
বিল্ড।
ভিডিও ফুটেজটি বিমানের পেছন
দিকের কাছে কোনো স্থান থেকে
তোলা বলে মনে হয়েছে। তবে এতে
কোনো মানুষকে নির্দিষ্ট করে
চেনা যায়নি।
ফরাসি একটি ম্যাগাজিনও
ভিডিও’র খবর এবং দুই পাইলটের
মধ্যকার কথপোকথনের অংশবিশেষ
ছেপেছে।
ক্যাপ্টেন টয়লেটে যাওয়ার জন্য
ককপিট ছেড়ে বাইরে যাওয়ার সময়
কো-পাইলট লুবিৎজকেই বিমানটি
নিয়্ন্ত্রণের দায়িত্ব বুঝিয়ে
দিয়ে যান এবং লুবিৎজও তা বুঝে
নেন বলে জানিয়েছে
ম্যাগাজিনটি। পরে ক্যাপ্টেন
তাকে ককপিটে ঢুকতে দেয়ার জন্য
লবিৎজের কাছে পীড়াপীড়ি করেন।
২৪ মার্চ স্পেনের বার্সেলোনা
থেকে জার্মানির ডুসেলডর্ফ
যাওয়ার পথে ফ্রান্সের আল্পস
পর্বতমালায় বিধ্বস্ত হয়
জার্মানউইংস এর বিমান। বিমানের
১৫০ জন আরোহীর সবাই মারা গেছে।
জার্মানির রাষ্ট্রীয় বিমান
সংস্থা লুফথানসা মঙ্গলবার
বলেছে, লুবিৎজ ফ্লাইট
প্রশিক্ষণ স্কুলের
কর্মকর্তাদেরকে তার ‘মারাত্মক
বিষন্নতায়’ ভোগার ইতিবৃত্ত
জানিয়েছিলেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী

সাদা রঙের স্বপ্ন গুলো দিল নাকো ছুটি তাইতো আমি বসে একা

Why I Hate My Life? Steps reasonable.| Properly I hate my life Disgusting