নক্ষত্রের সৃষ্টি দেখলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা
নক্ষত্রের সৃষ্টি পর্যবক্ষেণ করতে
পেরেছেন জ্যোতিবির্জ্ঞানীরা।
নক্ষত্র সৃষ্টির এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া
দেখতে দুটি রেডিও টেলিস্কোপের
ব্যবহার করেছেন তারা।
এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম
বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৯৬ সালে
নক্ষত্রটির সৃষ্টি প্রক্রিয়া শুরু হলে
রেডিও টেলিস্কোপে তা ধরা পড়ে
এবং ১৮ বছর পর পৃথক আরেক রেডিও
টেলিস্কোপের সাহায্যে নতুন
নক্ষত্রটির সৃষ্টি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে
দেখেন বিজ্ঞানীরা।
নতুন এই নক্ষত্রটি পৃথিবী থেকে চার
হাজার দুইশ’ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত
এবং এটির চারপাশ গোলাকৃতির
ধুলার মেঘের আস্তরে ঘেরা বলেই
জানিয়েছে বিবিসি। সূর্যের
চেয়েও প্রায় তিনশ’ গুণ বেশি উজ্জ্বল
নতুন এ নক্ষত্রটির নাম দেয়া হয়েছে
W75N(B)-VLA2।
নক্ষত্রটির সৃষ্টি প্রক্রিয়া দেখার পর
ধারণা করা হচ্ছে, নক্ষত্র গড়ে ওঠার
সময় চৌম্বক ক্ষেত্র বড় ভূমিকা পালন
করেছিল। ২০০৯ সালে ভিন্ন এক
গবেষণা চলাকালীন জেআইভিই-এর
(জয়েন্ট ইন্সটিটিউট ফর ভিএলবিআই ইন
ইউরোপ) বিজ্ঞানীরা নক্ষত্রটির
বর্তমান অবস্থানের নিকটবর্তী
অঞ্চলে এক বৃহৎ চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের
খোঁজ পেয়েছিলেন যা নক্ষত্রটিকে
ঘিরে রেখেছিল।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধারণা
করছেন, ১৮ বছর আগে নক্ষত্রটির জন্মের
সময় যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল সেটির
সঙ্গে এই বৃহৎ চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের
সম্পর্ক রয়েছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আশা করছেন,
পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নতুন নক্ষত্রটির
ক্রমাগত গড়ে ওঠা সম্পর্কে ভবিষ্যতে
আরও অনেক তথ্য জানা যাবে। এ
বিষয়ে প্রাপ্ত ফলাফল সায়েন্স
জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে বলে
জানিয়েছে বিবিসি।
মন্তব্যসমূহ