সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর বিএনপি নেতাদের ভোটে থাকা নিয়ে মন্ত্রীরা সংশয় প্রকাশ করলেও তা উড়িয়ে দিয়েছেন খালেদা জিয়ার অন্যতম পরামর্শক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ। মঙ্গলবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচন বয়কটের প্রশ্নই আসে না। “আমরা চাই, সব প্রার্থীরা যাতে তাদের ভোটারদের কাছে যোগাযোগ করতে পারেন, যেতে পারেন এবং ভোটাররা তাদের পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে, সেরকম একটি পরিবেশ নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করবে।” নির্দলীয় সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে লাগাতার হরতাল-অবরোধ চালানোর মধ্যেই সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথে এগিয়ে এসেছে বিএনপি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের পক্ষ থেকে মেয়র প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে বৃহস্পতিবারের মধ্যে সমর্থন চূড়ান্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় নৌমন্ত্রী শাজাহান খান সিটি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত বিএনপি থাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। তার দাবি, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের’ অজুহাত তুলে সরে দাঁড়াতে পারে বিএনপি। সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আড়াই মাস ধরে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে অধ্যাপক এমাজই প্রথম বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত দেন। বিএনপি সমর্থক ফোরাম ‘শত নাগরিক কমিটির’ আহ্বায়ক এমাজউদ্দীনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে দেখা করে সব দলের জন্য সমান সুযোগ প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান। বিরোধী জোট সমর্থক প্রার্থীদের মামলার হয়রানি ঠেকাতে ইসির পদক্ষেপও চেয়েছিলেন তারা। তবে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ মঙ্গলবারই বলেছেন, আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে পুলিশকে বাধা দেওয়ার কোনো এখতিয়ার তাদের নেই। এমাজউদ্দীনের সঙ্গে খালেদার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এটা তো আদালতেরই বিষয়। এর মধ্য দিয়ে আগের অবস্থান থেকে আরও বিএনপির আরও নমনীয় হওয়ার প্রকাশ ঘটেছে। অধ্যাপক এমাজ ও অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহর সঙ্গে আরও ছিলেন অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, টিভি আলোচক মাহফুজউল্লাহ, প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেইন, অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নী। নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দিয়ে অধ্যাপক এমাজ বলেন, “তা তৈরি করা না হলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকেই ভোটররা ঘৃণা করতে শুরু করবে। “আসন্ন সিটি নির্বাচন নিয়ে ম্যাডামের সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়েছে। আমরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন সুন্দরভাবে সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে সঠিক ‍ভূমিকা পালন করবে।” এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে আশ্বাস দিয়েছেন, কোনো প্রার্থীর প্রতি কোনো ধরনের পক্ষপাত করবেন না তারা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সোনার ময়না ঘরে থুইয়া বাইরে তালা লাগাইছে রসিক আমার মন বান্ধিয়া পিন্জর বানাইছে

মানুষ কখনো ইচ্ছে করে বদলায় না কিছু মানুষের অবহেলা, কিছু স্মৃতি